ভবিষ্যতে তেলের জায়গা দখল করবে যেসব ধাতব পদার্থ



ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর থেকে, বিশ্ববাজারে যে অস্থিরতা তৈরি করেছিল৷ তাদের ধাতব পদার্থের সংকট সৃষ্টি করেছিল ৷মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল৷  পদার্থের সংকট সৃষ্টির সেটাই ছিল প্রথম ঘটনা৷ বিশ্লেষকদের মতে এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারণ ছিল দুটি,
 (1) হচ্ছে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা (2) কারণ ভবিষ্যতে হতে পারে এমনকিছু চুক্তি নিয়ে জল্পনা হলে পরিস্কার হয়ে যায় যে পৃথিবী এখন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর পুরোপুরি নির্ভর করতে চায় না৷ এমন জ্বালানির উপর নির্ভর করতে চায়, যাতে দূষণের মাত্রা কম থাকবে এবং অর্থনীতিতে উত্তোলনের ক্ষেত্রে নিকেলের ভূমিকা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ ভবিষ্যতে কোন কোন খনিজ পদার্থ তেলের জায়গা দখল করে নিতে পারে সে বিষয়ে আজ আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব ৷

এক্ষত্রে বৈদ্যুতিক ব্যাটারি এবং  জ্বালানি তেল মজুদ করে রাখার কাজে লাগে সেসব খনিজের মধ্যে আছে লিথিয়াম, নিকেল ,গ্রাফাইটিস, এবং আগামী দিনের অর্থনীতি আরো বেশি বিদ্যুৎ ভিত্তিক হবে আর সেই অগ্রযাত্রার বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য প্রতিটি দেশে ভিন্ন ভিন্ন খনিজের বিশ্লেশন করছে৷ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যেসব দেশ আগেকার মতো শুধু তেল-গ্যাস-কয়লা ব্যবহারের মধ্যে আটকে থাকবে তারা হয়তো প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে ৷

বিশ্লেষকেরা বলছেন ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় যেসব ধাতব পদার্থের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে তাতেও কিন্তু রাশিয়ার বেশ কিছু সুবিধা হচ্ছে ৷রাশিয়া হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম প্রবাল ৷ রপ্তানিকারকদের মধ্যেও রাশিয়া পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ,নিকেল এর ক্ষেত্রে তারা তৃতীয় অবস্থানে আছে৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসব সুপার মিনারেল খনন উত্তোলনের মূলকেন্দ্র হচ্ছে অন্য কিছু দেশ পৃথিবীতে ব্যবহৃত কোবাল্টের একটা বিরাট অংশ আসে  ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে৷  চীন থেকে এবং রিয়ার এডমিরাল পদার্থগুলো অসীম ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন কমপক্ষে 17 খনিজ পদার্থ আছে৷ যা বিশ্বে জ্বালানি খাতের নতুনপর্বে উত্তোলনের ক্ষেত্রে অতি জরুরী ভূমিকা পালন করবে৷এ কারণে যেসব দেশের হাতে এগুলো উত্তোলন বা প্রক্রিয়াজাত করার সক্ষমতা আছে৷ তারা বড় রকমের সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে ৷আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা এরমধ্যে 17 টি খনিজ পদার্থের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে লিথিয়াম নিকেল কোবাল্ট গ্রাফাইট আর রিয়ার আর্ট  সমূহ 

 2040 সালের মধ্যে তৈলের বিকল্প অন্য ধতব পদার্থে চাহিদা বিপুলভাবে বেড়ে যাবে৷ একাধিক দেশে উত্তোলন করা হবে৷ কিন্তু সবগুলো খনিজের প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে প্রাধান্য বিস্তার করেছে একটিমাত্র দেশ আর সেটা হলো চীন ৷ এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে তা বলা কঠিন ,কারণ এটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে ৷তবে এটা স্পষ্ট যে  শতাব্দী ইতিহাসে প্রাধান্য বিস্তার করেছে তেল ৷ কিন্তু এক বিংশ শতাব্দীর ইতিহাস হয়তো লিখবে জ্বালানি উত্তোলনের নিয়ম এসব খনিজ পদার্থ কী অর্থে এগুলোই হচ্ছে অবশ্য দেখুন অবাক হবার কিছুই নেই যে বর্তমান যুদ্ধ এবং নিজের চাহিদার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় কিভাবে চালানোর ক্ষেত্রে রাশিয়া এবং চীনের মতো দেশগুলোর ওপর তাদের নির্ভরতা কমানো যায় ৷

 বিভিন্ন ধরনের শক্তি মতন করে রাখার জন্য এসব খনিজের অতি প্রয়োজনীয়৷ অর্থনীতির যতই ,বিদ্যুৎ নির্ভর হবে ততই৷ নতুন নতুন  সম্পদশালী হবে৷ গবেষণা প্রতিষ্ঠান জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইকনোমিক রিচার্জের একজন গবেষক  বলেছেন এসব খনিজের চাহিদা মেটানোর মতো সরবরাহ না থাকলে এগুলোর দাম হবে মনে থাকে এসব কারণের জন্য অনেক সময় দরকার একটি খনি প্রকল্প কাজ শুরু করার মত৷ পর্যায়ে যেতে গড়ে 10 বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে ৷

2030 সালের মধ্যে এগুলোর উৎপাদন 4 গুণেরও বেশি বেড়ে যেতে পারে৷ যদি আমরা এই শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ নির্গমনের স্তরেজ আবার কথা থাকে তার ফলে উৎপাদন করবে তারা হয়তো আগামী বছর ধরে এত রাজস্ব আয় করবে যেটা হয়তো এখন তাদের সাথে তুলনীয় হবে নেই৷ হয়তো হবে নতুন যুগের তেল উৎপাদনে বিনিয়োগ করে এক্ষেত্রে৷ সবচেয়ে শক্তিধর দেশ হয়ে উঠছে, তার মতে এটা নির্ভর করবে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তার ওপর ৷

 ইউক্রেন পরিস্থিতি এবং পশ্চিমা দেশগুলো যেভাবে জ্বালানির জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইছি, এসব বিবেচনা করেছেন ৷এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতি থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবার মতো অবস্থায় আছেন৷তিনজনের রাশিয়ার উৎপাদিত তার নিজের শোধনাগার গুলোতে নিয়ে আসতে পারে৷ এবং তারপর তা অন্য দেশে বিক্রি করেন তাহলে তারাই হবে সবচেয়ে বড় বিজয়ী৷ অন্য কিছু দেশ ও নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন৷ ইন্দোনেশিয়া গত দু'বছর ধরে তার মিনিটের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে হয়তো৷ রাশিয়ার খাদ্যের সাথে তারা উৎপাদন আরও বাড়াতে পারে 20%, উৎপাদন করে রাশিয়া পরিস্থিতিতে সরবরাহের কোন বিঘ্ন ঘটলে তার নীতির ক্ষেত্রে হবার সম্ভাবনাই বেশি৷ বিশ্লেষকেরা বলছেন রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কারণে যদি নিজের উৎপাদন কমে যায় ৷

এটি কোন ধরনের বিঘ্ন ঘটে তাহলে তার প্রভাব পড়বে দামের ওপর ইলেকট্রিক ব্যাটারি জন্য নিজের চাহিদাকে বছর অনেকটাই বাড়বে৷ অন্যদিকে প্লাটিনাম ধাতু গুলোর উত্তর দক্ষিণ আফ্রিকার উৎপাদনকারীরা তা সামাল দিতে পারে৷ ভবিষ্যতে এসব ধাতব পদার্থের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই মনোযোগ দিয়েছেন দুই-তৃতীয়াংশই ৷ কিন্তু সে দেশের বৃহত্তম ঘড়ি গুলোর অধিকাংশের মালিকানা অর্থায়নে চিনা কোম্পানিগুলোর হাতে 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম