রাশিয়ার সাথে ভারত সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো জোরদার করেছে এর মধ্যে ভারতের সাথে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্পর্ক নতুন করে আলোচনায় এসেছে ৷ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এর এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় বলেছিলেন পশ্চিমা দেশগুলোর একটি ভালো বন্ধু হতে চাই৷ কিন্তু তিনি একই সাথে বলেন ভারত দুর্বল হতে চায় না ৷এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজন রয়েছে ,এর মানে দাঁড়াচ্ছে রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম এর উপর ভারতের দীর্ঘস্থায়ী নির্ভরতা অব্যাহত থাকবে ৷ভারত বিশ্বের অন্যতম বড় অস্ত্র ক্রেতা এবং বহু বছর ধরে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিল পাকিস্তানের সাথে ভারতের চিরহরিৎ এবং চীনের সাথে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার মধ্যে দেশটির সামরিক নীতি প্রণয়ন করেছে ৷ 1990 এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দিল্লির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার থেকে ইন্টার্নেশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট 20017 -1992 সাল থেকে ভারতের প্রায় 2 %, 3% সমরাস্থ রাশিয়া থেকে এসেছে ৷যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা গোষ্ঠী তার হিসেব অনুযায়ী ভারতের প্রধান অস্ত্র ব্যবস্থার 85% দখল করে আছে এর মধ্যে রয়েছে ফাইটার জেট পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং মিসাইল গত দশকে রাশিয়ার অস্ত্রের উপর ভারতের নির্ভরতা হ্রাস পেয়েছে ৷ভারতের রাষ্ট্রের বাজারে ট্রানসলেশন সহ অন্যান্য দেশ জায়গা করে নিয়েছেন এসব দেশ থেকেও আরো বেশি সামরিক সহায়তা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকেও ভারত সমরাস্ত্র কিনছে৷ পরিসংখ্যানে দেখা যায় ভারতের কাছে 2021 সালে ফ্রান্সের যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের অস্ত্র বিক্রি মূল্য 2007 সালে তুলনায় দ্বিগুণ ছিল ,যদি একটি প্রধান সরবরাহকারী হিসেবেই রয়ে গেছে ভারত ফ্রান্সের কাজ থেকে মিরাজ যুদ্ধবিমান এ
নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক সফরের সময় উভয় দেশ বলেছে যে উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে তাদের সহযোগিতা আরও বাড়াতে সম্মত হয়েছে ৷যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এপ্রিলের দিল্লি সফরের সময় যুক্তরাজ্য এবং ভারত উন্নত জেট ফাইটার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যৌথ সহযোগিতায় নানা দিক পর্যালোচনা করেছে ৷দেশের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সম্পর্ক আরও বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে ৷ভারত তার কিছু উচ্চ প্রযুক্তিগত প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা প্রয়োজনের জন্য ইসরাইলের সামরিক সম্পর্ক বাড়িয়েছে ,এয়ারপোর্ট ওয়ার্নিং সিস্তেম ট্রান্সমিশন সিস্টেম সাথে ভারতের সামরিক সম্পর্ক তিনদিন ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন৷ দেশ দুটির মধ্যে প্রতিরক্ষা বাণিজ্য 2018 থেকে 2019 সাল পর্যন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ৷
মার্কিন দূরপাল্লার সামুদ্রিক টহল বিমান এবং সেই পরিবহন বিমান সেইসাথে ক্ষেপণাস্ত্র আর পেন্টাগনের একটি সাম্প্রতিক বিবৃতিতে ভারতের প্রতিরক্ষা এবং সাইবার নিরাপত্তায় সহযোগিতা জোরদার করার কথা বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন ঘটছে. তাতে ভারতের অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের মতো দেশগুলোর সাথে ভারতের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছেন ৷ভারত চায় স্পষ্ট করে দিয়েছে দিল্লি কোন পক্ষ নিতে চায় তবে অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মনে করেন ভারতের এ কৌশল ভবিষ্যতে খুব একটা কার্যকর হবে না ৷ভারতে নিষেধাজ্ঞা প্রভাবের কারণে মস্কোর উপর নির্ভরতা কমানো ছাড়া ভারতের কাছে অন্য কোন রাস্তা নেয়?
স্ একজন প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের লালওয়ানি বলেছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার 752 আর বেল সিস্টেম এর মূল উপাদান গুলি নিয়ে এখন সমস্যায় পড়তে পারে নয়াদিল্লি 2018 সালে রাশিয়ার কাছ থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করেছিল যার একটি অংশ শুধুমাত্র পৌঁছে দেয়া হয়েছে ৷সবকিছু সরবরাহে ভারতের সাথে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারবে না তিনি বলেন ইউক্রেনের রাশিয়া ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার প্রভাব পড়বে ৷ যে কারণে মস্কোর পক্ষে ভারতের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না কারণ রাশিয়া যুদ্ধে যেতে তার নিজ সেনাবাহিনীর প্রয়োজন পূরণ করতে সক্ষম যন্ত্র ব্যবহার করতে মরিয়া হয়ে উঠবে এর বাইরে আরও অস্র সরবাহ কমে যাবে৷ এই মুহূর্তে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং কতটা সফল ভাবে কাজ করছে সেদিকে নজর রাখছেন ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা বহু সমরাস্ত্র ইউক্রেন যুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি যা ভারতকে উদ্বেগে ফেলেছে. রাশিয়ার অস্ত্র ছাড়া ভারতকে চলতে পারবে না তা এই মুহূর্তে অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী রাশিয়ার সরবরাহ করার সরঞ্জাম ছাড়া কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে না৷ দিল্লি স্বল্পমেয়াদে ও মধ্যমেয়াদি রাজস্ব ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করতে থাকবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয৷তা তুলনামূলকভাবে আকর্ষণীয় দামে তাদের অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে দিল্লিভিত্তিক এভিয়েশন অ্যান্ড ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি সম্পাদক সঙ্গীতা শাস্ত্রী মনে করেন ভারতীয় সেনাবাহিনী রাশিয়ার কাছ থেকে কেনাকাটা চালিয়ে যাবে রাশিয়া দেশের সাথে ভারতের অনেক বেশি পরিচিত ৷এটি যেমন একটি কারণ তেমনি দেশের সাথে আর একটি কারণ সেখানে আরো বলেন ভারতের দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পকে অন্যান্য দেশের সাথে যৌথ অংশীদারিত্বে উন্নয়ন করতে চায় এর মধ্যেই তিনি ইন্ডিয়ার মতো কর্মসূচি রুটিনের অস্ত্র তৈরিতে জন্য বিদেশ থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার বিষয় জড়িত. তবে ভারত যাকে সবচেয়ে উপযুক্ত পাশের মূল্যের চুক্তির প্রস্তাব মনে করবে তার কাছ থেকে সমরাস্ত্র কিনছে রাশিয়া হোক বা অন্য কোন দেশ৷ কোন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রথাগত সমরাস্ত্র বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে এসব সমস্যার উপর ভারত বেশি নির্ভরশীল থেকে এস-ফোর হান্ড্রেড ডিফেন্স সিস্টেম এর মত পেতে এখন ভারতকে বেশি বেগ পেতে হবে ৷কারণ যুদ্ধ হলে চাহিদার থেকে বেশি মনোযোগ দিতে ৷হবে আজ হোক কাল হোক নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷ পশ্চিমা দেশগুলোর কৌশলী তারা ভারতকে নানা ধরনের সমরাস্ত্র কেনার জন্য দীর্ঘ দিনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাথে সমন্বয় করা ভারতের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে ৷আজ
Tags
INDIAN BENGALI