মার্কিন ডলার কিভাবে বিশ্বে অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে? এর বিকল্প কি হতে পারে?

 এক দেশ থেকে অন্য দেশে যখন কোন কিছু কেনে, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডলারের মূল্য পরিশোধ করতে হয় ৷যেমন ভারত বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে তার সব কিছু কিনতে হয় ডলারের মাধ্যমে,এছাড়া কিছু রপ্তানি করে তার মূল্য বুঝে নেয় ডলারের মাধ্যমে এভাবে পৃথিবীতে যত লেনদেন হয়  বেশির ভাগ হয় ডলারের মাধ্যমে৷ আবার ডলারের মাধ্যমে বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করছে, আমেরিকান ডলার নিয়ে  প্রশ্ন হচ্ছে , এটি কোন বিকল্প নেই, আমেরিকান ডলার, চীনের মুদ্রা ইউয়ান ,কিংবা রাসিয়ার রুবেলকে বিকল্প হিসাবে ব্যাবহার করতে পারবেন ইউক্রেনের  যুদ্ধের পর সে প্রশ্ন আরো জোরে জোরে উঠতে শুরু করছে৷  পৃথিবীতে স্বর্ণের মানের ওপর নির্ধারিত হত অর্থনীতি ও লেনদেন ৷ যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্র দেশগুলোর কাছে যেসব সামরিক এবং অন্যান্য সরঞ্জাম বিক্রি করেছে সেগুলোর মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে স্বর্ণের মাধ্যমে এর ফলে স্বর্ণ চলে যায় আমেরিকার হাতে এমন অবস্থায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে চল্লিশটি মিত্রদেশ একত্রিত হয়ে একটি চুক্তি করে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিনিময় মূল্য নির্ধারিত হবে৷ আমেরিকার ডলারের উপর ভিত্তি করে৷ আমেরিকান ডলারের মূল্য নির্ধারিত ছিল৷ তখন এর উপর ভিত্তি করে সে সময় ধরে রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আমেরিকান ছিল একমাত্র দেশ যেখানে যুদ্ধের কোন আঁচড় লাগেনি ৷এছাড়া ইউরোপ তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত যেত তখন পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ আমেরিকার কাছে ছিল এবং স্বর্ণের উপর ভিত্তি করে আমেরিকান ডলার বিদেশি ছিল সেজন্য তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কারেন্সি হিসাবে একমত হয়েছেন সেই থেকে ডলারের আধিপত্য শুরুর৷1971 সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ঘোষণা করলেন যে স্বর্ণের উপর ভিত্তি করে ডলারের মূল্য আর নির্ধারিত হবে না৷ বিশ্বজুড়ে আমেরিকান ডলারের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে এবং চাহিদা বাড়ানোর জন্য 1973 সালে সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি করে আমেরিকা সে চুক্তিতে বলা হয় সৌদি আরব তেল বিক্রি করবে শুধু আমেরিকার ডলারের বিনিময়৷ সৌদি আরব প্রতিবেশী দেশগুলোর আক্রমণ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে আমেরিকা৷  1975 সালে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন অর্থাৎ অন্যান্য দেশগুলো সৌদি আরবের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিল বিক্রি করা হবে আমেরিকান ডলারের বিনিময় ৷চীন গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবে  সজ্ঞে  আলোচনা করছে৷ যাতে করে চীনের কাছে সৌদি আরব তৈল রপ্তানি করে সেটার মূল্য পরিশোধ ডলারে না করেই চীনের মূদ্রা পরিশোধ করা যায় কিনা ৷ ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ে আলোচনা আবার নতুন করে সামনে এসেছে সৌদি আরব যত তেল রপ্তানি করে তার 25% যাই চীনে ৷ কিন্তু  লেনদেনের বিষয়ে সৌদি আরব এখনো একমত হতে পারেনি৷ খুব দ্রুত সেটি হবার সম্ভাবনাও নেই ৷গত পাঁচ বছর ধরে পৃথিবীতে যেসব দেশের মুদ্রা রাজত্ব করছে তার মধ্যে রয়েছে পর্তুগাল ,স্পেন, তারপর নেদারল্যান্ডস ,তারপর ফ্রান্স, এবং সর্বশেষে ছিল বৃটেনের , আমেরিকান ডলার. একটা কথা প্রচলিত আছে যে কোন রাজার রাজত্ব চিরস্থায়ী হয় না৷ তেমনি  আমেরিকার মুদ্রার ডলারেরও 
চিরস্থায়ী নয়৷
 ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধের পর সে প্রশ্ন আমার নতুন করে উঠতে শুরু করেছে ৷একটি দেশ অপরাধীকে দেশ থেকে কোন পণ্য কিনলে সেটের মূল্য পরিশোধ করা হয় ৷তাদের উপদেশ দেবার পর দেশটি বলছে যারা তাদের কাছ থেকে তাদের মূল্য পরিশোধ করতে হবে রাশিয়ার মুদ্রা গুগলের মাধ্যমে৷চীন ও রাশিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ বিকল্প হিসেবে নতুন একটি বৈশ্বিক মুদ্রার কথা বলছেন ৷কিন্তু সেটা এবার তবে বিকল্প হতে পারে৷ কিন্তু সেটি এখনও সম্ভব নয় ,মার্কিন অর্থনীতির অস্বচ্ছতার কারণে ব্যবসা এবং বিনিয়োগকারীরা তাদের আস্থা রাখছেন রাশিয়ান মুদ্রা গুগোল

কিন্তু বাস্তবে সম্ভব হচ্ছে না৷ এর কারণ হচ্ছে এবং স্বাভাবিক গতি প্রকৃতি দ্বারা নির্ধারিত হয় না ৷এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি হস্তক্ষেপ করে কোন দেশের মুদ্রা নয় ইউরোপের কয়েকটি দেশে কোন কর্তৃত্ব নেই অর্থনীতিবিদরা বলছেন সব হিসেব নিকেশের সুবিধা এবং আস্থার জায়গা মিলিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে 2016 সালের মুদ্রা কে বিশ্বের অন্যতম ফরেন এক্সচেঞ্জ প্ কারেন্সি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ কেন্দ্রীয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে৷ মাত্র 2 দশমিক 79 শতাংশ আমেরিকান

58 দশমিক 1 শতাংশ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যেটি 20 দশমিক 64 শতাংশ তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রতীক৷ ম্যানেজিং ডিরেক্টর গোপীনাথ সতর্ক করে বলেছেন রাশির উপর নিষেধ অধিক দীর্ঘমেয়াদি হলে সেটি আমেরিকার ডলারের জন্য খারাপ হবে ৷সংবাদপত্র তিনি বলেছেন ৷বিশ্বে থাকলে ঠিকই কিন্তু এর সাথে লেনদেনের স্বার্থে কিছু দেশ অন্য মুদ্রা ব্যবহার করা শুরু করবে৷ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের চিহ্ন প্রকৃতিগত তারা অন্য মুডে রাখতে পারে ৷ডলারের চাহিদা কমতে পারে ব্যাংকিং সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান সেক্স সম্প্রতি তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে 1920 সালে ব্রিটিশ পাউন্ড তাদের আধিপত্য হারানোর আগে যে ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল তা আবার অ্যামেরিকান ক্ষেত্র ও

আমেরিকা এবং ইউরোপের মিশে থাকার কারণে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রায় অর্ধেক ব্যবহার করতে পারছে না৷যে কোনটা ডলার এবং প্রিয়তে রাখা হয়েছিল ঘটনার পর পৃথিবীর অনেক দেশ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসেবে ডলারের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতে পারে বলে তারা মনে করছে৷ তবে সেটি এখনই হচ্ছে না অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলারের আধিপত্য কবে আসবে হয়তো আরো কয়েক দশক পর্যন্ত সময় লাগতে পারে, তবে ইউক্রেন যুদ্ধের পরে সেটি নিয়ে অনেকের মধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে৷ 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম