কলা খাওয়া আমাদের শরীরের কি কি উপকারীতা হয়?



রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য  তবে হাতের কাছেই রয়েছে আমাদের দেশীয় সস্তা কলা স্বার্থেই রক্তস্বল্পতা দূর করনের৷ কলায় রয়েছে বিপুল পরিমাণে আয়রন, যা শরীরে লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা বৃদ্ধি করার মধ্য দিয়ে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে৷ যারা এমন রোগে ভুগছেন তারা আয়রন ট্যাবলেট না খেয়ে যদি কলা খেতে পারেন তাহলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যায়৷ তার সাথেই অন্যতম একটা উপকার হবে যেটা আমাদের দেশের মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা হচ্ছে আপনার হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে৷  যদি আপনি হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে চোখ বন্ধ করে শুধু কলাটা একটি কোন এসিডিটির মেডিসিন খাবেন না এবং হজম ত্বরান্বিত করতে বিশেষ কোন ঔষধ এর শরণাপন্ন না হয়ে৷ শুধু কলা খেলে হবে৷ যদি আপনি রাজি থাকেন তাহলে একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন ডায়রিয়া চলাকালীন সময় তাতে আশা করাটা বেশি উপকারী এই মুহূর্তে পাকা কলা খেতে যাবেন৷ কিন্তু সমস্যা পায়খানার সমস্যা হলে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী আমাদের পেটটাকে একদম স্বাভাবিক করে ফেলে,অর্থাৎ পেটের ভিতর পাচক রস ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয় ৷যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই কলা খাওয়ার পর হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটে৷ তবে একটি কথা মনে রাখবেন যখনই শরীর দুর্বল লাগে ঝটপট একটা কলা খাওয়া মাত্রই আপনার শরীরের শক্তি পাবে ৷এবং পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করেপ৷ যা দীর্ঘক্ষন আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে৷ ফলে অনেকক্ষণ আপনার খাবারের আগ্রহ জন্ম নিবে না ৷

কিন্তু শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর যাবে কলাপট্টি  থেকে খুব চমৎকারভাবে দূর করে দেয় তাই শিশুদের জন্য কলা খাওয়া খুবই দরকারী৷ কারণ হিসেবে কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল, সেই সঙ্গে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম. ক্যালসিয়াম আয়রন ,এবং ফলের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান একটি ফলের মধ্যে যা শরীর স্বাস্থ্য  সুন্দর করে৷ এবং সুস্থ-সুন্দর করে থাকে তাই যেহেতু বাচ্চারা খুব চঞ্চল স্বভাবের থাকে ৷তাই তাদের ক্লান্তি দূর করতে প্রতিদিন অবশ্যই কলা খেতে দেবেন ৷ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে খুবই দরকারি তবে কলার খোসা ফেলে দেবেন না কারণ কলার খোসার মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি এসিড৷ ভালো রাখতে খুবই দরকারি কলার খোসা আপনার ত্বকে ঘষে নিতে পারেন৷ দিনে কয়টি কলা খাবেন এই প্রসঙ্গে অথবা দুটি কলা খাবেন৷ ডাক্তাররা বলে থাকেন সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে দুটি কলা খাওয়া৷ আর দিনের মধ্যে সকালের নাস্তা যেহেতু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাই সকালের খাবার একটি কলা অবশ্য ,তাহলে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে৷ ইউনিভার্সিটি অফ লিডস এর গবেষণা করা একটি স্টাডিতে দেখা গিয়েছে যে কলার মত ফাইবার সমৃদ্ধ ফল ৷প্রতিদিন খাওয়া শুরু করলে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায় ৷তাই আপনার পরিবারে যদি হার্টের রোগের রোগী থাকে তাহলে নিয়মিত কলা খেতে একদম ভুলবেনা৷ এনার্জির ঘাটতি দূর হয়ে যাবে৷ কলা খেলে সারাদিন কাজ করার পর, অথবা যদি কোন কাজে আপনি মনোযোগ দিয়ে বসতে চান তবে তার আগে একটি কলা খেয়ে নিন৷ দেখবেন ওই কাজটা 100% মনোযোগ দিয়ে করতে পারবেন ৷মারাত্মক কাজের চাপ পড়ে অর্থাৎ এমন কাজের চাপে যে আপনার মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে৷ কোন কিছু মাথায় ঢুকছেনা?  সচল করতে ঝটপট একটা কলা নিয়ে নিন ৷মনে রাখবেন এতে আমরা দুধ চা খাই ৷এটা আসলে কার্যত আমাদের মানসিক একটা প্রশান্তি দিয়ে থাকে৷ কিন্তু মস্তিষ্কে তেমন কোন এনার্জি প্রেরণ করোনা ৷কিন্তু কলাটা আপনার মস্তিষ্কের সরাসরি ইফেক্ট করবে৷ শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য করার বিকল্প অন্য কোন ফল নেই ৷তাই দৈনিক দুটি কলা আপনাকে অনেকগুলো রোগের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিবে, ও হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে৷

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম