ভারতীয় আর্মি তে অগ্নিপথ প্রকল্প নামের সেনা নিয়োগের নতুন পদ্ধতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে৷ অনেক বিশেষজ্ঞরা সংখ্যা চার বছর পর বিপুলসংখ্যক আধুনিক অস্ত্র শিক্ষিত বেকার সেনাসদস্য ভারতের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ অনেকে মনে করেন সরকারের শিক্ষিত বেকার সেনা সদস্যদের নিয়ে গঠন করতে পারে, মিলিশিয়া বাহিনী সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ৷ কেন সুসান সিং প্রশ্ন তুলে বলেছে চার বছর পর অবসরে যাওয়ার সেনাসদস্যদের কতজনকে পুলিশ সিকিউরিটি গার্ড এবং বিএসএফ নিয়োগ দেয়া যাবে আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে সহিংসতার মাত্রা এত বেশি সেখানে বিপুলসংখ্যক অস্ত্র প্রশিক্ষণ তাদের চাকরি খোঁজার জন্য বাজারে ছেড়ে দেয়া ঝুঁকিপূর্ণ৷ ভারতীয় আর্মি তে সেরা নিয়োগের ক্ষেত্রে জুন মাস থেকে অগ্নিপথ নামে নতুন পদ্ধতি ঘোষণা করা হয়েছে৷ নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে আরবিতে সকল সেনা নিয়োগ হবে অগ্নিপথ আওতায় হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তাদের চাকরির মেয়াদ হবে চার বছর ৷এর মধ্যে ছয় মাস থাকবে প্রশিক্ষণ কাল৷ চাকরি শেষে কেউ কোনো পেনশন পাবে না৷ নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে শতকরা কত সময়ের জন্য চাকরির সুযোগ দেয়া হবে অগ্নিপথ এম এর বিরোধিতা করেছে আর্মিতে না ভাড়া করা কর্মসূচি হিসেবে ৷সবার এক প্রশ্ন চার বছর পর এদের কি হবে,
সেনা সদস্য হিসেবে নিয়োগের বয়স 17 বছর 6 মাস থেকে 21 বছর পর্যন্ত অগ্নিপথ ঘোষণার সাথে সাথে গোটা ভারত জুড়ে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ৷এদের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী নয় বরং সাবেক এবং কর্মরত সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা করছেন৷ তাদের মতে এতে ভারতীয় আর্মির শক্তিশালী নরম তুলার অদক্ষ হবে ভবিষ্যতে অগ্নিপথ ধীরে ভারতে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে৷ ভারতে নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন৷ অনেকে একা পথে ভারতে বিশৃংখলার জন্য আর্মি এবং সরকার উভয়কে দায়ী করেছেন৷ ভারতের অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অম্রিত পাল ঘটনাকে আরবি এবং সরকারের নিজস্ব সৃষ্টি আখ্যায়িত করে৷ আমৃৎপাল সিং বলেছেন অদক্ষতা রে জাদু মন্ত্র এমন এক সময় হাজির করা হলো যখন লাদাখে ভারতীয় আর্মির আর্মি কে মোকাবেলা করছে সীমান্ত সংঘাত অবসানের যখন কোনো লক্ষণ নেই ৷তখন অগ্নিপথের মতোই ভারতের প্রতিষ্ঠিত মহল আরো বিপজ্জনক মাত্রায় নিয়ে অনেক বিশ্লেষকদের মতে৷ ভারতজুড়ে অগ্নিপথ নিয়ে বিক্ষোভ চলছে এমন এক সময় যখন দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকির বিরাজ করছে৷ অগ্নিপথ কেন্দ্রীয় সরকার এবং আর্মির পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে তাতে ভারতীয় আর্মি তে অধিক জনবল কমিয়ে অধিক প্রযুক্তি নির্ভর করে লক্ষ্য আর্মিতে বেতন এবং পেনশন খাটের খরচপাতি আধুনিক অস্ত্র উদ্ভাবন অস্ত্র কেনা সহ অন্যান্য খাতে ব্যয় বাড়ানোর একটি লক্ষ্য৷ পেনশন এবং বেতন খাতে ভারতীয় আর্মির বাজেটের অর্থ খরচ হয়ে যায়৷ এ খাতে খরচ কমিয়ে ভারতীয় আর্মি আধুনিকায়নের লক্ষ্যে অস্ত্র ক্রয় অস্ত্রধারীসহ অন্যান্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে চায় ৷একই সাথে চার বছরের জন্য আর্মিতে নিয়োগের ব্যবস্থা থাকলে ভারতীয় আর্মি বয়স্কদের পরিবর্তে একটি তারুণ্যনির্ভর আর মিথ্যে পরিণত হবে৷ বর্তমানে ভারতের 15 বছর পর্যন্ত নিয়োজিত থাকে এরপর তাদের আমৃত্যু পেনশন দেয়া হয় ৷ভারতের বিভিন্ন শহরের লাখ লাখ মানুষের স্বপ্ন আর্মিতে যোগ দেয়া৷ এর মাধ্যমে তারা জীবনের ভরণপোষণের নিশ্চয়তা বেকারত্ব থেকে মুক্তি পরিবারের সফলতার স্বপ্ন দেখে৷ একইসাথে সম্মানজনক 2019 সাল থেকে ভারতের সেনা নিয়োগ বন্ধ দুই বছর ধরে লাখ-লাখ যুবক অপেক্ষায় রয়েছেন৷ আর্মিতে যোগ দেয়ার আশা নিয়ে কিন্তু সরকার অগ্নিপথ প্রকল্পের আওতায় চার বছরের জন্য আর্মিতে সেরা ভাড়া নেয়ার ঘোষণা দিয়ে কোটি কোটি তরুণের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে ৷ভারতের প্রতি বছর 60000 সেনাসদস্য অবসরে যায় ৷এবং প্রতি বছর সংখ্যক সেনা নিয়োগ দেয়া হয়৷ সামরিক খাতে ব্যয়ের দিক দিয়ে ভারতের অবস্থান বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পর৷ দুই বছর নিয়োগ দেয়ায় ভারতের আর্মি তে বর্তমানে এক লাখের বেশি সেনা ঘাটতি রয়েছে ৷অগ্নিপথ বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর ৷কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা দেয় 23 বছর পর্যন্ত বয়সীরা প্রথম বছর সুযোগ পাবে চার বছর পর শতকরা 10 জনকে বিএসএফ এবং আসাম রাইফেলস এর নিয়োগ দেয়া হবে ৷এছাড়া যারা 4 বৎসর সফলভাবে শেষ করবে তাদের পরবর্তীতে পুলিশে নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷ কিন্তু এর কোনো কিছুতেই বিক্ষোভকারীদের খুব দূর করতে পারেনি৷ সব ভারতীয় আর্মি কে দুর্বল করবে ৷এবং দেশকে বেকারত্বের হার বাড়বে৷ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফিনান্সিং বলেছেন এটি একটি হঠকারী পদক্ষেপ৷ এটি বাস্তবায়ন করলে ভবিষ্যতে ভারতীয় আর্মির সঙ্কটের মুখে পড়বে৷ কারণ যদি একজন অভিজ্ঞ সেনা মারা যায় ৷তাহলে তার স্থানে এক-দেড় বছরের মধ্যে অভি ঘোষণা দিয়ে পূরণ হবে না৷ ওকে কর্মসূচিতে সমর্থন করে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এসবি আস্থানা ভারতীয় গণমাধ্যম কে বলেছেন, পুরনো লোকজনকে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করানোর বর্তমান প্রজন্ম খুবই প্রযুক্তিবান্ধব অগ্নিপথ বাস্তবায়িত হলে যারা নিয়োগ পাবে ৷তাদের মধ্য থেকে সেরা 25 ভাগ সেনাদের মেয়াদ বাড়ানো হবে৷ অদক্ষদের বিদায় করে দেয়া হবে৷ এতে করে ভারতীয় বাহিনী হিসেবে ভবিষ্যতে আবির্ভূত হবে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল বলেছেন আর্মি কোন দোকান খুলে বসে নেই৷ দেশে বেকারত্ব দূর করা আর বেকার পুনর্বাসন করা আর্মির কাজ নয়৷ বিক্ষোভকারীদের প্রতি কঠোর পদক্ষেপের হুমকি দিয়ে তিনি বলেন আমরা বলিনি যে আপনাদের আর্মিতে নেয়া হবে ৷
এখানে যোগ দিতে হয় এবং বিজেপি সরকার উভয়ই ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ উপেক্ষা করে৷ অগ্নিপথ কর্মসূচি এগিয়ে নেয়ার পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখন খারাপ দেখালেও ভবিষ্যতে এ প্রকল্প জাতি গঠনে সহায়তা করবে৷ প্রতিবাদ বিক্ষোভের মধ্যেই আর্মির পক্ষ থেকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে সব প্রার্থীকে এছাড়া আবেদন গ্রহণ করা হবে না৷ উনিশে জুন তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে নিয়োগ প্রত্যাশীদের অঙ্গীকার করতে হবে৷ কোন ভাঙচুর বা জ্বালাও-পোড়াও অংশ নেয়া যাবে না৷ অনেকের মতে নরেন্দ্র মোদি সরকার ভারতীয় আর্মি কে সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে বেতন পেনশন বাবদ অর্থ বাঁচানোর লক্ষ্য ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানিকারক দেশ৷ মোদি সরকারের লক্ষ্য অস্ত্র হাতে আরও অধিক অর্থ ব্যয় করা৷ নরেন্দ্র মোদী নিজেও আর্মি সংস্কারের পক্ষে অধিক জনগণ কমিয়ে প্রযুক্তির উপর অধিক গুরুত্ব দেয়ার পক্ষে৷ তিনি বিশাল জনবল নির্ভর নয়৷ বরং প্রযুক্তিনির্ভর আর্মি গড়ে তোলা৷ মোদি সরকারের লক্ষ্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট জেনারেল এইচএস পাঠক বলেছেন ৷বর্তমানে আমাদের দরকার দ্রুত সম্ভব সর্বাধুনিক অবস্থিত একটি স্মার্ট আর্মি সেনা সংখ্যা নয়৷ আমাদের উন্নতি করতে হবে মানের দিক থেকে৷ ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে দরকার একটি স্লিম আর্মি৷ ভারতের পাঁচ লাখের বেশি সেটা কেবলমাত্র কাশ্মীরের স্থায়ীভাবে মোতায়েন রয়েছে৷ তাদের বেতন পেনশন এর পেছনে খরচ ভারতের তুলনায় অনেক কম৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর লাক্সমান কুমার বহেড়া বলেন চীনকে মোকাবেলা করতে হলে আমাদের দরকার আধুনিক প্রযুক্তির মাথাভারী আর্মি নয়৷ সমালোচকদের মতে আর্মিকে আধুনিকায়ন করা প্রযুক্তি নির্ভর করার অনেক উপায় আছে৷ চার বছরের জন্য সেনা নিয়োগ দেয়া কোনো ভালো পদক্ষেপ হতে পারেনা ৷ভারতের সাবেক অর্থ চিদাম্বারাম ব্যঙ্গ করে বলেছেন আপনি যদি ড্রাইভার ধোপা নাপিত দারোয়ান হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতে চান, তাহলে অগ্নিপথের যোগ দিন ৷আপনি যদি পাকুরা ভাজার শিখতে চান তাহলে অগ্নিপথের যোগ দিন৷ কিন্তু আপনি যদি সৈনিক হতে চান তাহলে অগ্নিপথের যোগ দেবেন না৷ অনেকের মতে সৈনিক হিসেবে চার বছর চাকরির পর৷ অবসরে গিয়ে তাদের কাউকে গাড়ি চালাতে হবে ৷কাউকে হয়ত নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হবে ৷অথবা অন্য কোন পথ বেছে নিতে হবে জীবিকার জন্য৷ বিশ্লেষকদের মতে ভারতের মতো দেশে আর্মিতে সংস্কারের নামে বেকারত্বের সমস্যাটিকে একেবারে উড়িয়ে দেয়ার সঠিক নয়৷ চাকরির ক্ষেত্রে জীবন-জীবিকা নিশ্চয়তা থাকতে হবে৷ কোন সুস্থ-স্বাভাবিক লোক চার বছরের জন্য আর্মিতে যোগ দেবে না৷ দেবে তাদের মধ্যেও সবসময় হতাশা বিরাজ করবে৷ ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে একটি ভারতীয় আর্মির জন্য কল্যাণকর হতে পারে না ৷
Tags
BEGALI NEWS